কিভাবে সাইকেলে কক্সবাজার যাবেন ?

ছবিটি ইন্টারনেট থেকে নেওয়া


দূরত্ব হিসাব

ঢাকা থেকে কুমিল্লা ৯০ কিলো
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ২৩২ কিলো
ঢাকা থেকে কক্সবাজার ৩৬০ কিলো
কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম ১৪৫ কিলো
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ১২৮ কিলো
কক্সবাজার থেকে মহেশখালী ১৩ কিলো
কক্সবাজার থেকে টেকনাফ ৭৬ কিলো

দিনের হিসাব

১ম দিন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম+১দিন
২য় দিন চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার
৩য় দিন কক্সবাজার থেকে মহেশখালী
৪র্থ দিন কক্সবাজার থেকে টেকনাফ
৫ম দিন কক্সবাজার থেকে ঢাকা
(মাঝখানে ১দিন অতিরিক্ত থাকবে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আসার পরেরদিন ক্লান্ত বা অসুস্থ না হই, তাহলে এই ১দিন অতিরিক্ত লাগবে না।)
মোট ৫ দিন, তবে আমরা পুরো ৭দিনের জন্য বের হবো

টাকার হিসাব (আনুমানিক)

১) ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে সকালের নাস্তা, লাঞ্চ ও চা পানি সহ ৩০০ টাকা।
২) চট্টগ্রামে রাতে থাকা ও হোটেল ভাড়া সহ ৩০০ বা ৪০০ টাকা।
৩) চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে সকালের নাস্তা, লাঞ্চ ও চা পানি সহ ৩০০ টাকা।
৪) কক্সবাজারে রাতের খাবার ও ৪ দিনের হোটেল ভাড়া প্রায় ৮০০/১০০০ টাকা।
কক্সবাজার থেকে মহেশখালী দুপুরের খাবার ও ট্রলার ভাড়া সহ ৫০০ টাকা,
কক্সবাজার থেকে টেকনাফ দুপুরের খাবার ও  অন্যান্য আনুসঙ্গিক সহ ৫০০ টাকা
কক্সবাজার থেকে ঢাকা বাস ভাড়া সাইকেল সহ ১৪০০ টাকা
এখানে বেসিক হিসাব করা হয়েছে, মোট ৪৪০০ টাকা, এক্সট্রা আরো ১ হাজার টাকা বেশি নিলে জনপ্রতি মোট ৫৫০০ টাকায় এই টুর সাকসেস হয়ে যাবে। বাকিটা আপনার খরচের উপর নির্ভর করে কম বেশি হতে পারে।

যা যা সাথে নিতে পারেন বা নিতে হবে ⚠️
⭕ এক্সট্রা টিউব
⭕ প্যাচকিট, চাকা খোলার লিভার,
⭕ পাম্পার
⭕ হেড লাইট
⭕ টেল লাইট
⭕ সানগ্লাস
⭕ উইন্ড ব্রেকার
⭕ পাওয়ার ব্যাংক
⭕ মোবাইল চার্জার
⭕ ছাতা
⭕ রেইনকোর্ট
⭕ পলিথিন/ওয়াটার প্রুফ ব্যাগ (মোবাইল/মানিব্যাগ এর জন্য)
⭕ হ্যান্ড স্যানিটাইজার
⭕ সাইকেলের পিছনের ক্যারিয়ার
⭕ নিজের প্রয়োজনীয় ওষুধ
⭕ আপনার কাপড় ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র

✅ রাইডের সময় আপনার নিরাপত্তার জন্য যা পরিহিত থাকবেন ✅

১। হেলমেট ✔️
২। হ্যান্ড গ্লাভস ✔️
৩। সানগ্লাস ✔️
৪। উইন্ড ব্রেকার ✔️
৫। গলা ও মুখে ব্যান্ডানা ✔️


🌅ভোর ৬ টায় আমরা যাত্রাবাড়ি থেকে রওনা দিবো প্রথম স্টপ থাকবে কুমিল্লা (মাঝখানে ব্রেক হবে ২টা, ১ টা সকালের নাস্তার আরেকটা চা/পানির)।
কুমিল্লা যদি সকাল ১১টার মধ্যে পৌঁছাই তাহলে দুপুরের লাঞ্চ করবো ফেনী গিয়ে।
ফেনী থেকে লাঞ্চ ও রেস্ট করে রওনা দিবো চট্টগ্রামের উদ্দেশ্য।
চট্টগ্রাম সন্ধ্যা বা রাত ৮ টার মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করবো। চট্টগ্রাম পৌঁছে ডিরেক্টলি হোটেলে চেক ইন করে ফ্রেশ হয়ে সাইকেলকে ফ্রেশ করে রেস্ট নিবো ও রাতের খাওয়া দাওয়া সেরে চট্টগ্রাম টুকটাক ঘুরে দেখবো।
(পরেরদিন সকালে যদি মনে হয় যে আজকে (১৩০ কিলো) কক্সবাজারের জন্য রওনা দিতে পারবো না তাহলে ওইদিনটাও চট্টগ্রামে কাটাবো।)
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার এর উদ্দেশ্য রওনা দিবো ভোর ৬ টায়, যাবো আনোয়ারা বাঁশখালী রোড দিয়ে সোজা চকরিয়া, এরপর চকরিয়াতে দুপুরের খাবার খেয়ে ও রেস্ট নিয়ে আবার রওনা দিবো আমাদের গন্তব্য কক্সবাজারে। বাকি থাকবে মাত্র ৪৫ কিলো রাস্তা।
রেস্ট নিয়ে নিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছে আগে সাইকেল ও নিজে ফ্রেশ হয়ে রেস্ট নিবো তারপর কক্সবাজার শহর ও সী বিচে সাইকেল নিয়ে রিফ্রেশমেন্ট নাইট রাইড দিবো ও রাতের খাবার খেয়ে বিচে সময় কাটিয়ে হোটেলে চলে যাবো
(উল্লেখ্য যে আমরা ঢাকা থেকে প্ল্যান ফিক্স করে রওনা দেওয়ার আগে চিটাগং ও কক্সবাজারের হোটেল আগে থেকে বুকিং করে নিবো)

কক্সবাজারে ২য় দিন সাইকেল নিয়ে বের হবো মহেশখালীর দিকে, 
প্রথমে কক্সবাজার এয়ারপোর্টের দিকে বোটঘাটে যাবো, ওখানইউ থেকে ট্রলারে সাইকেল সহ মহেশখালী, সারাদিন মহেশখালীর এইদিক ওইদিক ঘুরে সন্ধার আগে মহেশখালী থেকে কক্সবাজার ফিরে আসবো।
রাতে আবার বিচে সময় কাটাবো ও রাতের খাবার খেয়ে হোটেলে চলে যাবো।

৩য় দিন ভোর সকালে মেরিন ড্রাইভ রোড ধরে সোজা টেকনাফ এর দিকে রওনা দিবো আর এদিক ওদিক বিরতি নিয়ে উপভোগ করবো কক্সবাজারের আসল সৌন্দর্য, ফিরে আসবো একই রাস্তায়। সারাদিন মেরিন ড্রাইভে কাটাবো। 

৪র্থ দিন সকালে বাসে রওনা দিবো ঢাকার উদ্দেশ্যে, ইনশাআল্লাহ রাত ১০ টার মধ্যেই ঢাকা পৌঁছে যাবো।

লেখা : ইমাম হোসেন আকাশ