যেভাবে পরিচয় হয় সাউথ ঢাকা সাইক্লিস্ট এর সাথে

২০১৯ সালের বিজয় রাইড থেকে ফেরার সময় এসডিসির সাথে

১৪ ই জানুয়ারি সন্ধ্যা বেলা নাজিরা বাজার মোড়ে পাঠাও ফুডের অর্ডার নেওয়ার জন্য যখন হোটেলের ভিতরে গিয়ে খাবার নিয়ে এসে দেখি আমার সাইকেল জায়গায় নাই।
তো সদ্য আপডেট করা আমার সাইকেল টি চুরি হওয়ার পর আমি আমার খালাতো ভাইয়ের কাছ থেকে তার গ্যারেজে অনেকদিন যাবত পরে থাকা সাইকেলটি ধার নেই, বিনিময়ে সেও আমার কাছ থেকে ২০০০ টাকা ধার নেয়। তো ওই সাইকেলটার টুক টাক আপডেট করার পর কাজ করতে করতে চলে আসে স্বাধীনতা রাইড ২০১৯ তখন বিডিসি বাদে অন্য সাইক্লিস্ট গ্রুপ খুব একটা চিনতাম না। বিডিসি গ্রুপে তখন দেখলাম স্বাধীনতা রাইড এর জন্য সবাই ঈদের মত প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমারও শখ জাগলো যাওয়ার কিন্তু আবার ভাবলাম আমার তো হেলমেট নাই, তার উপর সাইকেল এর অনেক কাজ বাকি, এইভাবে গেলে তো সবাই হাসাহাসি করবে এই ভেবে স্বাধীনতা রাইডে যাওয়ার ইচ্ছা বাদ দিলাম কিন্তু কয়েকদিন পর বিডিসি অফিসিয়াল ইভেন্ট দিলো, দেখলাম  স্বাধীনতা রাইডে হেলমেট না পরলেও হবে। এটা দেখে খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেলাম, মনে মনে নিয়ত করলাম যত কাজই থাকুক, স্বাধীনতা রাইড মিস দিবো না। দেখতে দেখতে চলে এলো কাঙ্ক্ষিত সেই ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা রাইড ২০১৯ ।
ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে রেডি হয়ে নাস্তা করেই রওনা দিলাম মানিক মিয়া এভিনিউ এর দিকে ।
মাথায় শুধু বাংলাদেশের ব্যান টাইপের পতাকা বাধা।
নির্দিষ্ট স্বাধীনতা রাইড এর রুট শেষ হয়ে যখন আবার মানিক মিয়া এভিনিউতে পৌঁছে রাইড শেষ করল এরপর বাসায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিলাম। যখন মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে বের হব তখনই চোখে পড়ল সাউথ ঢাকা সাইকেলিস্ট গ্রুপ কে, একজনের কাছ থেকে শুনলাম সাউথ ঢাকা সাইকেলিস্ট নাকি কমলাপুর পর্যন্ত যাবে তাই একা না গিয়ে তাদের সাথে জয়েন হলাম উইথ আউট পারমিশন।
যখন ফার্মগেট থেকে বের হল তখন এসডিসি গ্রুপের মেম্বার আমার দিকে তাকিয়ে ছিল মনে মনে ভাবছিল যে এই এলিয়েন টা কোথা থেকে এলো
এরপর তাদের সাথে মালিবাগ পর্যন্ত যাওয়ার পর দেখলাম সবাই একে একে ভাগ হয়ে যাচ্ছে তাই আমিও কাকরাইল দিয়ে বাসার দিকে যাওয়ার প্ল্যান করি।

বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে ফেসবুকে ঢুকে সার্চ করি সাউথ ঢাকা সাইকেলিস্ট সাথে সাথে তাদেরকে পেয়ে যাই এবং জয়েন করি গ্রুপে

চলবে...

প্রথম পর্ব : https://akashariyan.blogspot.com/2020/01/blog-post.html